জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। নিচে কয়েকটি পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
১. প্রত্যক্ষ পরিমাপ:
* তাপমাত্রা: থার্মোমিটার ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।
* বৃষ্টিপাত: রেইন গেজ ব্যবহার করে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপা হয়।
* সমুদ্রের উচ্চতা: সমুদ্রের উচ্চতা পরিমাপ করার জন্য স্যাটেলাইট এবং টাইড গেজ ব্যবহার করা হয়।
* গ্রিনহাউস গ্যাস: বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করা হয়।
২. পরোক্ষ পরিমাপ:
* গাছের বলয়: গাছের বলয় বিশ্লেষণ করে অতীতের জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
* বরফের কোর: বরফের কোর বিশ্লেষণ করে অতীতের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলের গঠন সম্পর্কে জানা যায়।
* সমুদ্রের তলদেশের পলি: সমুদ্রের তলদেশের পলি বিশ্লেষণ করে অতীতের জলবায়ু এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
* জীবাশ্ম: জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে অতীতের জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
৩. স্যাটেলাইট:
* স্যাটেলাইট ব্যবহার করে পৃথিবীর তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, সমুদ্রের উচ্চতা এবং বরফের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
* স্যটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে জলবায়ু মডেল তৈরি করা হয়।
৪. কম্পিউটার মডেল:
* কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে ভবিষ্যতের জলবায়ু সম্পর্কে পূর্বাভস দেওয়া হয়।
* এই মডেলগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন কারণ এবং প্রভাব বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
৫. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ:
* বিজ্ঞানীর বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।
* তাঁরা উদ্ভিদ এবং প্রানীর আচরণ, হিমবাহের গলন এবং সমুদ্রের স্তরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন।
এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ চিত্র তৈরি করেন এবং এর প্রভাব সম্পর্কে পূর্বাভাস দেন।