মানব দেহ থেকে বর্জ্য নিষ্কাশনে মূলত দুইটি প্রক্রিয়াকে সাধারণত সবাই জানে, মূত্রত্যাগ ও মলত্যাগ। প্রস্রাব, প্রস্রাবের থলিতে প্রতিমুহূর্তে জমা থাকে, ফুলে ভর্তি হলে প্রস্রাবের বেগ হয় এবং মানুষ থলে খালি করে থাকে প্রস্রাব করার মাধ্যমে। অনুরূপভাবে মলের ও একটি থলে আছে তবে থলেটি মলত্যাগের সুবিধার্থে নলাকার (টিউব) থাকে ডাক্তারি ভাষায় (বৃহদন্ত্র )মলাধার বলা হয়। মলাধার ভর্তি হলে মলত্যাগের মাধ্যমে খালি করা হয় । আমরা যেসব বস্তুকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি তার একটা অংশ হজমের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে আর বাদবাকি অংশ মনে পরিণত হয়। খাদ্যতন্ত্র বা ফাইবার পেটের হজম হয় না এবং মল তৈরিতে প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচ্য। সুস্থ মানুষের প্রতিদিন এমন পরিমাণ মল তৈরি হওয়া উচিত যাতে (মলাধার) মলের থলে অন্তত একবার ভর্তি হয় তাতে দিনে একবার মলত্যাগ করার প্রয়োজন হবে।
নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মল অধিক সময় ধরে মলা ধরে জমা থাকলে অর্থাৎ মলা মলত্যাগ না করতে পারলে, মল থেকে পানি শোষিত হওয়ার ফলে পানি বের হয়ে যাওয়ায়, মল দিনে দিনে শক্ত আকার ধারণ করে, ফলে ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এ সবকিছুর একমাত্র প্রাকৃতিক সমাধান অধিক মলব্ধক খাদ্য মূলত শাকসবজি, ফলমূল ও দুধ-দধি ও আস্ত শস্যদানার খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা। এই বস্তুগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রধান উপাদানও বটে।
বেশ কিছু ফলে অধিক পরিমাণে খাইবার থাকাই কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেগুলো হলো কাঠবাদাম, আনজির, পেঁপে আনারস , পেয়ারা ইত্যাদি। এছাড়াও ধৃতকুমারীর শাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক থেকে দুই গ্লাস পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন এক গ্লাস বেলের জুস ও খাওয়া যেতে পারে। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও এগুলো প্রাকৃতিক বলে কোন সমস্যা দেহে দেখা দেবে না। আর কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারের জন্য অধিক পরিমাণে তেলেভাজা খাদ্যদ্রব্য খাওয়া থেকে পরিহার করতে হবে। উপরের খাদ্যগুলো নিয়মিতভাবে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর হয়ে যায়।
উত্তরটি পছন্দ হলে একটি আপ ভোট দিয়ে যান। আরো অনেক পরিমাণে জানতে ইজি আনসার এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ