একই খাবার একই পরিমাণে খেয়ে কেউ মোটা আর কেউ চিকন হয়। এটার কিছু কারণ আছে।
একই খাবার খেয়ে থাকলেও মোটা চিকন হওয়ার কারণ:
১. শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম সকলের সমান না হওয়া।
২. শরীরের ভেতরে হরমনাল পার্থক্য থাকা।
৩. সমান শারীরিক পরিশ্রম না করা।
৪. সবার বিএমআই BMR (Bessel Metabolic Rate) সমান না থাকা।
৫. সবার জীবনযাত্রা সমান না হওয়া। ইত্যাদি।
চলুন একটু বিষদ ভাবে জেনে আসা যাক:
১. শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম সমান না হওয়া।
ইমিউনিটি সিস্টেম সব মানুষের সমান হয় না। এটা বয়স ও লিঙ্গভেদে পরিবর্তন হতে পারে। সবার হজম ক্ষমতাও সমান হয় না। এই জন্য একই খাবার সবার ক্ষেত্রে সমান কাজ করে না। কিছু তফাত থেকেই যাই।
২. শরীরের হরমনের পার্থক্য।
শররীরের হরমোনের পার্থক্য থাকার জন্য মোটা-চিকন এর সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ সবার দেহে হরমোন সমাণ ভাবে কাজ করে না। এই জন্য একই খাবার সবার জন্য সমান হয় না।
৩. সমান পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম না করা।
এখন খাবার একই পরিমাণ খেলে তো হবে না। শরীরে খাবার প্রবেশ করিয়ে যে পুষ্টি উপাদান উৎপাদিত হয়, সেগুলোকে তো খরচ করতে হবে। তা না হলে ওই পুষ্টি শরীরে মেদ হিসেবে জমা হবে। এই জন্য যদি একই খাবার খেয়ে যদি শারিরীক পরিশ্রম না করা হয় তাহলে কেউ মোটা আবার কেউ চিকন হতে পারে।
৪. সবার বিএমআই BMR (Bessel Metabolic Rate) সমান না থাকা।
বি এম আর হলো শরীরে প্রতিদিন কতটুকু পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তার পরিমাণ। এখন বয়স, উচ্চতা, লিঙ্গ, পরিশ্রমের ধরণ ইত্যাদির মাধ্যমে বি এম আর নির্ধারণ করা হয়। এটা সবার সমান হয় না। এই জন্য সবার ক্ষেত্রে একই খাবার প্রয়োজন হয় না। তাই যদি কেউ প্রতিনিয়ত তার বি এম আর এর অতিরিক্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে থাকে তাহলে সেই অতিরিক্ত পুষ্টি মেদ হিসেবে শরীরে জমা হতেই থাকবে।
৫. সবার জীবনযাত্রা সমান না হওয়া।
সবার জীবনযাত্রা সমান হয় না। কেউ শারীরিক পরিশ্রম বেশি করে। আবার কেউ মানসিক পরিশ্রম করে। আবার কেউ মানসিক চিন্তায় ভোগে আবার কেউ আনন্দে থাকে। এটা শরীরের উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে। এই জন্য একই খাবার সবার জন্য সমান কাজ করে না।
পরিশেষে একটা কথায় বলা যায় যে উপরোক্ত কারণ গুলোর কারণে একই খাবার খেলেও কেউ মোটা আবার কেউ চিকন হয়।