কনডম এর কথা আমরা সবাই কম বেশি জানি। কিন্তু সবাইর একটা ধারনা যে এটা শুধু সহবাস এর সময় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক মানুষ ই জানেন না যে কনডম এর অনেক উপকারিতা আছে। আপনিও যদি সেই মানুষ গুলোর মধ্যে হয়ে থাকেন তাহলেও টেনশন করার দরকার নাই। আমি আপনাকে সব বুঝিয়ে বলছি।
কনডম এর উপকারিতা ও অপকারিতাঃ
১। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে কনডমের অপকারিতা নেই বললেই চলে। এর অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা অনেক বেশি। কারণ জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর জন্য কনডম এর ব্যবহার সবচেয়ে ভাল। অন্য সব কিছু যেমন পিল ইত্যাদি বাবহারে স্ত্রীর গর্ভকালীন জতিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় স্ত্রি বর্ণান্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া স্ত্রী বাচ্চা জন্ম দিতে অক্ষম ও হয়ে জেতে পারে। কিন্তু কনডম এ এমন কনো সমস্যা নেই। অন্য সকল কিছুর থেকে কনডম ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ।
২। এছাড়া কনডম আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার মধ্যে যাদের খুব ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয় তারা রাতে ঘুমানোর সময় কনডম ব্যবহার করতে পারেন।
৩। কনডম শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রন এর জন্য ব্যবহার করা হয় না। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কনডম ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ সিফিলিস, গনরিয়া, এমনকি HIV প্রতিরধে ও কনডম অনেক কার্যকর ভুমিকা রাখে।
অপকারিতাঃ-
কনডম এর অপকারিতা নেই বললেই চলে। তবে যেহেতু এটা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় তাই এটা পরিবেশ এর জন্য ক্ষতিকর । এছাড়া কনডম থাকাই অনেক যুবক-যুবতি খুব নিরাপদে অবৈধ সম্পর্ক করে মেলামেশা করছে। যেটা সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।
কনডম এর ইতিহাস এবং আবিস্কারঃ-
প্রাচীন কাল থেকেই কনডম ব্যবহার এর প্রচলন চলে আসছে। তবে তখন যেটা কনডম হিসেবে ব্যবহার করা হতো সেটা এখনকার মত আরও উন্নত ছিল না। তখন পশুর চামড়া কেটে কিংবা পশুর শিং ব্যবহার করা হতো। পরে এটা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে আজকের কনডম এর সৃষ্টি হয়েছে।
ষোড়শ শতকে পুরো ইউরোপ জুড়ে সিফিলিস রোগ এর বিশাল মহামারি তৈরি হয়। তখন ইতালির বিজ্ঞানী গ্যাব্রিয়েল ফ্যালোপিয়ো ( তার নাম অনুসরণ করেই ফ্যালোপিয়ান টিউব নাম রাখা হয়) পেনিসে ব্যবহার করার জন্য একটি বিশেষ রাসায়ানিক এ সিক্ত করা লিনেন আবরণ তৈরি করেন। যেটা ছিল পৃথিবীর প্রথম ব্যবহার করার উপযোগী নিরাপদ কনডম, বা জন্ম নিরোধক বস্তু। এর পরে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা করে কনডম এর নিরাপত্তা পরিক্ষা করা হয়। কিন্তু তখন কনডম এর দাম অনেক বেশি ছিল।
১৯২০ সালের দিকে কনডম এ অনেক পরিবরতন করা হয়। যেটা অনেক সহজলভ্য এবং আরও উন্নত করা হয়। সেইসময় কনডম এর সাথে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা হয়। ১৯৮০ সালের দিকে পুরো পৃথিবী জুড়ে এইডস এর মহামারি দেখা দেই। যেটা মানুষকে কনডম এর ব্যবহার সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে। তারপর থেকে যত দিন যাচ্ছে কনডম এর ব্যবহার তত বাড়ছে।
এভাবেই পৃথিবীতে কনডম এর সূচনা হয়েছে।