বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে উটকে অজগর, কিং কোবরা প্রভিতি এর মতো বিষধর সাপ জীবন্ত গিলে খাওয়ানোর ভিডিও। কিন্তু উটের মতো এই শান্ত প্রাণি সাপ খাবে কেন? আর তাও জীবন্ত বিষধর সাপ! এই ভিডিও দেখে জানার খুব ইচ্ছা হলো। এখন আপনাদের জানানোর জন্য লিখছি।
চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক:
আসলে উট নিজে এই সাপ খায় না। উটের মালিকেরা এই বিষধর সাপ উটকে খাওয়ান। কিন্তু কেন?
আসলে 'হায়াম' নামক উটের একটি রোগ নিরাময়ে উটকে এই সাপ খাওয়ানো হয়। স্থানীয় ভাষায় হায়াম অর্থ জীবন্ত সাপ গিলে খাওয়া। এই রোগ উটের মধ্যে দেখা দিলে উট খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। উটের শরীর আস্তে আস্তে ফুলে শক্ত হয়ে যায়৷ উট প্রচন্ড রক্ত শূন্যতায় ভোগে। এছাড়াও গর্ভপাত , মৃত বাচ্চা প্রসব প্রভৃতি এর মতো জটিলতায় ভোগে। সঠিক চিকিৎসা না হলে উটের মৃত্যুও হতে পারে।
তখন উট মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন এই রোগ নিরাময়ে উটের মালিকরা উটকে অজগর এর মতো বিষধর সাপ খাওয়ান।
প্রথমে উটের মুখের ভেতরে আস্ত সাপটিকে দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর উটের মুখে অনেক পানি দেওয়া হয়। যাতে উটের মুখের ভেতরে সাপটি যেতে পারে। অনেক সময় উট নিজেই সাপটিকে গিলে খায়। এর পরে সাপের বিষ উটের সারা শরীরে ছড়াতে থাকে। যখন পুরো শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে তখন উটের চোখ দিয়ে পানি বের হয়। স্থানীয়রা এই পানিকে তিরইয়াক বলে।স্থানীয়রা এই পানি সংগ্রহ করে রেখে দেয়। সাপের এই বিষক্রিয়া চলতে থাকে প্রায় আট (৮) ঘন্টা যাবৎ৷ তার পরে উট ধীরে ধীরে সেরে উঠে। তবে এই চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্মত নয়। তবুও এটা অনেকটা উপকারী চিকিৎসা। অনেকটা বিষে-বিষে বিষক্ষয়।