মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সা: এর সংক্ষিপ্ত জীবনী বলবেন প্লিজ ? - Easyanswer নোটিশঃ

আমরা লক্ষ্য করেছি যে ইউজাররা AI দিয়ে Content লিখে ওয়েবসাইটে সাবমিট করছে। এই ধরণের কন্টেন্ট আমরা কনো অবস্থা তে গ্রহণ করবো না। এবং ঐ ইউজারের একাউন্ট ডিলিট করা হবে।

Easyanswer-এ এখন ৫০০ পয়েন্ট অর্জন করলে ৫০টাকা পেমেন্ট পাওয়া যায় | তাই নিবন্ধন করা না থাকলে এখানে ক্লিক করে নিবন্ধন করুন। উত্তর করার পূর্বে অবশ্যই নীতিমালা পড়ুন
সহজ উত্তরে আপনাকে স্বাগতম ! এটি একটি প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক কমিউনিটি। এই সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
0 টি ভোট
76 বার প্রদর্শিত
"ইসলামিক দৃষ্টিকোণ" বিভাগে করেছেন (53 পয়েন্ট)

মহানবী সা. এর জীবনী

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (53 পয়েন্ট)

         ✳️ মুহাম্মাদ ﷺ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ✳️


 ✴️ ভূমিকা :  যুগে যুগে মানুষ যখনই আল্লাহর অবাধ্যতায় ডুবে যায় , তখন আল্লাহ তাদের হেদায়েতের জন্য একজন নবী বা রাসূল প্রেরণ করেন । ঠিক তেমনই ইসা (আ) এর ঊর্ধাকাশে গমনের পর মানুষ যখন চরম শিরক, পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সত্যিকার অর্থেই আইয়ামে জাহেলিয়াতের শুরু করেছিল। তখনই আল্লাহ তাদের হেদায়েতের জন্য শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা ﷺ কে পাঠালেন পুরো দুনিয়ার জন্য রহমত স্বরূপ। যেমন আল্লাহ বলেন :

 وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ

অর্থ : আর আমি তো তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি। (আম্বিয়া : ১০৭)


✴️ জন্ম ও বংশ পরিচয় :  মহানবী ﷺ ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ( হস্তি বছর) বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম ছিল আমিনা। তার বংশধারা হযরত ইসমাইল (আ) এর সাথে মিলে যায় ।


✴️ শৈশব ও কৈশোর : হজরত মুহাম্মাদ ﷺ মায়ের পেটে থাকা অবস্থাতেই তার পিতাকে হারান । ততকালীন আরবের প্রথা অনুযায়ী পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ধাত্রী হালিমার কাছে লালিত-পালিত হন । এরপর মাতৃক্রোড়ে ফিরে আসেন । কিন্তু তার এক বছর পরই তার মাতা ও মারা যান। এরপর তিনি তার দাদা আবদুল মুত্তালিবের কাছে লালিত-পালিত হতে থাকেন। কিন্তু তার বয়স যখন আট তখন তার দাদাও মারা যায় । এরপর তিনি তার চাচা আবু তালিবের কাছে বড় হতে থাকলেন । ছোটবেলাই তার নবী হওয়ার অনেক আলামত ও মুজিযা প্রকাশ পেয়েছিল । তার বয়স যখন পনেরো তখন হরবুল ফিজারের যুদ্ধের ভয়াবহতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন ।


✴️ যৌবন :  হরবুল ফিজারের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করার পর আরবদের দুঃখ দুর্দশা দুর করার জন্য হিলফুল ফুজুল নামে একটা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সারা আরবে তার সততার কথা ছড়িয়ে পড়েছিল । তিনি আল আমিন নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। এছাড়া বিশ বছর বয়সে মক্কার ধনবতী নারী খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসায় নিযুক্ত হন। এবং পরবর্তীতে পঁচিশ বছর বয়সে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।


✴️ নবুয়ত লাভ :  চল্লিশ বছর বয়সে একদিন হেরা গুহায় তার নিকট আল্লাহর বার্তাবাহক জিব্রাইল (আ) তার নিকট আগমন করেন এবং তার মাধ্যমে আল্লাহর বাণী কুরআনুল কারীম তার উপর নাযিল হওয়া শুরু হয় । এর মাধ্যমে তিনি নবুয়ত লাভ করেন ।


✴️ রিসালাতের প্রচার : নবুয়ত লাভের পর তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার শুরু করেন প্রথমে ঈমান আনলেন স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা) । তারপর চাচাত ভাই আলী, বন্ধু আবু বকর, কৃত দাস (পরে মুক্ত প্রাপ্ত) যায়েদ (রা) ইসলাম গ্রহণ করলেন । এভাবে গোপনে ইসলাম প্রচার চলে তিন বছর। তারপর তার উপর প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার করার জন্য নির্দেশ আসে । প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করার সাথে সাথে তার ও মুসলমানদের উপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন ।


✴️ হিজরত : কাফিরদের নির্যাতনের মাত্রা যখন অসহনীয় হয়ে পড়লো তখন তিনি ইয়াসরিব (মদিনা) শহরে হিজরতের সিদ্ধান্ত নিলেন । এবং ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদীনায় হিজরত করেন । পথিমধ্যে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হলেও তিনি আল্লাহর সাহায্যে বেঁচে যান। মদীনায় অনেকে তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।


✴️ মক্কা বিজয় : কাফিরদের সাথে অনেক গুলো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অষ্টম হিজরীতে বিনা রক্তপাতে মহানবী সাঃ মক্কা বিজয় করেন । মক্কা বিজয়ের পর তার উপর নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করে দিয়ে ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ।


✴️ ওফাত : সকল জাহেলিয়াত দূর করে নবুয়াতের দায়িত্ত্ব সঠিক ভাবে পালন করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ৬৩ বছর বয়সে তিনি সকল উম্মাতে মুহাম্মদীকে এতিম করে ওফাত (পর্দা) নেন ।


✴️ উপসংহার : রাসূল সাঃ এর জীবন আদর্শ হলো মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ট জীবন আদর্শ। আমাদের তাকে সর্বোচ্চ অনুসরণ ও ভালোবাসা উচিত। আল্লাহ বলেন : 

 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ

অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর আর রসূলের আনুগত্য কর। (সূরা মুহাম্মাদ:৩৩)

0 টি ভোট
পূর্বে করেছেন (52 পয়েন্ট)
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ইসলামের শেষ নবী ও রাসুল। তিনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মায়ের নাম আমিনা। নবী মুহাম্মাদ (সা.) ছয় বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু হলে, তাঁর লালন-পালন করেন তার দাদা আবদ মুত্তালিব এবং পরবর্তীতে চাচা আবু তালিব।

প্রথমে তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করতেন এবং ব্যবসায়িক সফরে গিয়ে খদীজা (রা.) নামক এক মহান নারীর সঙ্গে বিবাহ করেন। তাঁর বিবাহিত জীবন সুখী ছিল, এবং তারা একে অপরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পোষণ করতেন।

৪০ বছর বয়সে, হজরত মুহাম্মাদ (সা.) কে প্রথম ওহী (আল্লাহর বাণী) নাযিল হয় হিরা গুহায়, যেখানে তিনি তার জীবনের প্রথম দ্বীনি উপদেশ পান। এরপর ২৩ বছর ধরে তিনি ইসলামের বাণী প্রচার শুরু করেন। মক্কা ও মদিনায় তাঁর জীবন কেটেছে বহু চ্যালেঞ্জের মধ্যে, এবং তিনি একে একে মানুষের হৃদয়ে ইসলামের আলো প্রবাহিত করেন।

মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবন ছিল এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি সর্বোচ্চ নৈতিকতা, দয়া, ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক। তাঁর শিক্ষা, জীবনযাপন ও তাঁর বাণী আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবন পরিচালনা করছে।

তিনি ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর পরে ইসলামের সম্প্রসারণ ও প্রচার আরও বিস্তৃত হয় এবং ইসলামের বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

–1 টি ভোট
0 টি উত্তর
+1 টি ভোট
0 টি উত্তর
+1 টি ভোট
0 টি উত্তর
–1 টি ভোট
0 টি উত্তর
0 টি ভোট
0 টি উত্তর
Easyanswer এ সুস্বাগতম, যেখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পেতে পারবেন। Live Traffic Feed
...