স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ হলো সেই বল, যার সাহায্যে রক্ত শরীরের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছায়। হৃদপিন্ডের পাম্পিংক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ তৈরি হয়। রক্তচাপের কোন একক নির্দিষ্ট মাত্রা নেই। বিভিন্ন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এক একজনের রক্তচাপের মাত্রা এক এক রকম এবং একই মানুষের বেলায় বিভিন্ন সময়ে রক্তচাপও কম-বেশি হতে পারে। উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, অধিক পরিশ্রম, কম ঘুম, ও অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঘুম ভালো হলে এবং বিশ্রাম নিলে রক্তচাপ কমে যায়। রক্তচাপের এ পরিবর্তন স্বাভাবিক। সাধারণত বয়স যত কম রক্তচাপ ও তত কম হয়। যদি কারো রক্তচাপ নরমাল মাত্রার চেয়ে বেশি হয় এবং অধিকাংশ সময় এমনকি বিশ্রামকালীন বেশি থাকে তবে ধরে নিতে হবে তিনি উচ্চ রক্তচাপের রোগী।
রক্তচাপ দুই ধরনের- সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক। নরমাল সিস্টোলিক ১০০ থেকে ১৪০ এবং ডায়াস্টোলিক ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার মার্কারি। কারো ব্লাড প্রেসার যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি থাকে তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। তবে বয়স ভেদে তারতম্য হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোন প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। এটাই উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে খারাপ দিক। যদিও অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের রোগীর বেলায় কোন লক্ষণ থাকে না, তবুও নিরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
তাই পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই কোন রোগ প্রতি কারের আগে প্রতিরোধ করাই উত্তম। তাই এখন থেকেই যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ না থাকে তাহলে নিয়ম-কানুন মেনে চলুন। আর যদি উচ্চ রক্তচাপ হয়ে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ উচ্চ রক্তচাপের ফলে অনেক সময় স্ট্রোকের মতো মরণঘাতক রোগ হতে পারে।
আর উত্তরটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে উত্তরে একটি আপভুট প্রদান করুন। আরো এরকম নানা বিষয়ে জানতে ইজি আনসারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।