Bangladesh University of Science and Technology (BUET) বা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি একটি ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এর তালিকার মধ্যে BUET একটি অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর বাংলাদেশের সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় সবার শীর্ষে।
ছোটবেলা থেকে বাবা-মায়েরাা চায় যে তার সন্তান ইন্জিনিয়ার হোক। আবার অনেকে বড় হয়ে ইন্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সবাই সেটা পূরণ করতে পারে না।
আবার অনেকে বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়ারও স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করলেও বুয়েটে সবাই পড়তে পারে না।
বুয়েট (BUET) এ পড়ার জন্য ৩ টি ধাপে নির্বচিত হতে হয়।
১. পরীক্ষা দেওয়ার নূন্যতম যোগ্যতা অর্জন।
২. MCQ এ উত্তীর্ণ হওয়া।
৩. লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।
এই তিনটি ধাপ সফলভাবে পার করার পরে একজনের নামের পাশে বুয়েটিয়ান ট্যাগ লাগে।
বিস্তারিত:
১. পরীক্ষা দেওয়ার নূন্যতম যোগ্যতা অর্জন।
বুয়েটে পরীক্ষা সবাই দিতে পারে না। প্রতি বছর মাত্র ১৮/১৯ হাজার শিক্ষার্থী MCQ পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। অর্থাৎ জিপিএ ৫ পেলেও বুয়েটে সবাই পরীক্ষা দিতে পারবে না। এই নির্বাচন করা হয় HSC এর নাম্বারের মাধ্যমে। অর্থাৎ পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এই ৩ বিষয়ের উপর। আবেদনকারিদের মধ্য থেকে এই এই ৩ বিষয়ে সর্বোচ্চ নাম্বার ধারী ১৮০০০ শিক্ষার্থী MCQ এর জন্য উত্তীর্ণ হয়।
হিসাব অনুযায়ী MCQ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এই ৩ বিষয়ে ৯০+ করে, অর্থাৎ ৯২/৯৩ করে নাম্বার নেয়া হয়। তবে সেটা প্রতিবছর পরিবর্তনশীল। এটা সেই বছরে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে। তবে ৯২/৯৩% নাম্বার পলে বুয়েটে পরীক্ষা দেওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
২. MCQ
বুয়েটে প্রথম পরীক্ষা হয় MCQ এর মাধ্যমে। এখান থেকে ৪-৫ হাজার শিক্ষার্থী রিটেন পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। এখানে কোন নেগেটিভ মার্কিং নেই।
পরীক্ষা হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এই তিন বিষয়ের উপর।
৩. রিটেন পরীক্ষা।
এই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হতে পারে তারাই কেবল বুয়েটে চান্স পেয়ে থাকে। এখানে মোট ৪০ টি প্রশ্ন আসে। সময় ২ ঘন্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য প্রাপ্ত সময় ৩ মিনিট। পদার্থবিজ্ঞান থেকে আসে ১৩ টা, রসায়ন থেকে ১৩ টা আর গণিত থেকে আসে ১৪ টা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আনুমানিক ১৩০০+ শিক্ষার্থীদের বুয়েটে পড়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
উপরের উল্লিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে বুয়েট (BUET) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।