বর্তমানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) ব্যাবহৃত হচ্ছে। এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্ষেত্র হচ্ছে :-
১. তথ্য ব্যবস্থাপনা: ব্যাপক তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয় এমন সব সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন: নির্বাচন কমিশন, পরিসংখ্যান ব্যুরো, শিক্ষা ব্যুরো, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, পর্যটন কর্পোরেশন, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানসমূহে।
২. ব্যাংকিং : ব্যাংকিং সেক্টরের সব ধরণের কার্যক্রম যেমন:- ব্যাংকিং লেনদেন, গ্রাহক বিবরণ, ব্যালেন্স, একাউন্ট স্টেটমেন্ট, ঋণ সংক্রান্ত হিসাব-নিকাশ, ক্রেডিট কার্ড, ডেভিড কার্ড প্রভৃতি কাজে।
৩. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান:- বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যেমন: বড় বড় শপিংমলে প্রডাক্ট মজুদ, বিক্রয় এবং গ্রাহকের তথ্য সংরক্ষণ ও বিল তৈরিকরণে, অনলাইন শপিং সার্ভিসে।
৪. এয়ারলাইনস :- বিভিন্ন দেশে অবস্থিত টার্মিনালের সাথে টেলিফোন ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিমানের রিজার্ভেশন ও সিডিউল তৈরিতে।
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন তথ্য যেমন: রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফর্ম পূরণ, ফি কালেকশন, রুটিন, পরীক্ষার ফলাফলের গ্রেডিং প্রভৃতি কাজে।
৬. টেলিকমিউনিকেশন:- টেলিফোন কলের রেকর্ড, মাসিক বিল, প্রিপেইড কলিং গ্রাহকের হিসাব, গ্রাহকের তথ্যাবলি সংরক্ষণে DBMS এর ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে।
৭. তথ্য ব্যাবস্থাপনা: বিভিন্ন অর্থলগ্নিকারক ও ব্যাবস্থাপনা যেমন:- হোল্ডিং, ক্রয়-বিক্রয়, স্টক, শেয়ার বা বার্ষিক অর্থিক বিশ্লেষণ প্রভৃতি কাজে।
৮. উৎপাদন :- বিভিন্ন কলকারখানায় উৎপাদন, মজুদ পরিমাণ, চাহিদা, অর্ডার প্রভৃতি হিসাব বিশ্লেষণে।
৯. মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা :- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাক্তিগত নথিপত্র, বেতন-ভাতাদি, ওভারটাইম, আয়কর, বোনাস প্রভৃতি হিসাব প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণে।
১০. ওয়েববেজড সার্ভিস:- ওয়েব ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাক নেওয়া, উত্তর দেয়া, এবং রিসোর্স শেয়ারিং করা।
১১. স্বাস্থ্য সেবায়:- বড় বড় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ, ডায়াগনোসিস রিপোর্ট, অনলাইন রিপোর্ট, অনলাইন স্বাস্থ্য সেবায়, বায়োমেডিক্যাল গবেষণায়।
উপরোক্ত ক্ষেত্রে ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) ব্যবহার করা হয়।