শোনো, গুহার নাম শুনলেই তো, একেবারে রহস্যময় অন্ধকার, ঠান্ডা বাতাস আর বিশাল পাথরের ছবি মাথায় আসে।
কিন্তু পৃথিবীর মধ্যে যেটা আসলেই সবার বড়, সেটা হল "সন ডুং গুহা" (Son Doong Cave), ভিয়েতনামের কোয়াং বিন প্রদেশে।
এই গুহাটা ১৯৯১ সালে এক স্থানীয় লোক, হো খান, প্রথম খুঁজে পায়।
কিন্তু তখন ব্যাপারটা চুপচাপই থেকে যায়। পরে ২০০৯ সালে ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার টিম এসে পুরোপুরি সার্ভে করে, আর তখনই প্রমাণ হয়, এটাই আসল "বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহা"।
সাইজ শুনলে অবাক হয়ে যাবে!
গুহার ভেতর এমন বড় বড় হল আছে, যেখানে একেবারে ৪০ তলা বিল্ডিং দাঁড় করানো যায়।
আর একদম খোলা জায়গায় এমনও আছে, যেখানে একটা ছোটখাটো জঙ্গল হয়ে গেছে। মানে ভেতরে ঢুকলে মনে হবে আলাদা দুনিয়া।
গুহার দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার, আর ভেতরের সবচেয়ে উঁচু অংশ ২০০ মিটারের বেশি। নদীও বইছে এর ভিতর দিয়ে। তাই শুধু পর্যটক না, বিজ্ঞানীরাও বারবার এখানে যায়, নতুন প্রজাতি খুঁজতে আর গবেষণা করতে।
অনেকেই ভাবে আমেরিকার মামথ কেভ (Mammoth Cave) হয়তো বড়।
হ্যাঁ, সেটার দৈর্ঘ্য বেশি, ৬৫০ কিলোমিটারও ছাড়িয়েছে। কিন্তু গুহার ভেতরের “চেম্বার” বা হল রুমের সাইজের হিসেবে সন ডুং গুহার কোনো তুলনা নেই।
তাহলে এক কথায় উত্তর দাঁড়াল, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহা হল ভিয়েতনামের সন ডুং গুহা।
ভেতরে ঢুকলে মনে হবে না যে তুমি গুহায় আছ, বরং মনে হবে অচেনা গ্রহে পা রেখেছ।